হে আমার শ্রদ্ধেয় সনাতনী বোন,,আমার এই লেখাটি শুধু আপনাকে নিয়ে

হে আমার শ্রদ্ধেয় সনাতনী বোন,,আমার এই লেখাটি শুধু আপনাকে নিয়ে। তাই একটু সময় নষ্ট করে আমার লেখাটি পড়ুন, এবং বিচার করে দেখুন আপনি কতটা সুকৃতি আর পুন্যের ফলে একটি হিন্দু পরিবারে জন্ম গ্রহন করেছেন…..                                                                                                                              

হে স্নেহের সনাতনী বোন, আপনি কি জানেন যে হিন্দু পরিবারে জন্মগ্রহন করে আপনি কতটা ভাগ্যবতী? 

আমি বলছি আপনি শুধু মিলিয়ে নিন…..!!

১। সনাতনধর্মে আপনার জন্ম হয়েছে এজন্য আপনী মহা ভাগ্যবতী। কেননা সনাতনধর্ম জীবের একমাত্র ধর্ম যা সৃষ্টির শুরুতে ছিল এখনো আছে ভবিষ্যতেও থাকবে। এবং এই ধর্মেই আপনি কেবল ঈশ্বর সম্পর্কে পূর্ণ ধারনা পাবেন। অর্থাৎ আপনি জানতে পারবেন ঈশ্বর নিরাকার+পরমাত্মা+ভগবান (ভগবানের সবিশেষ রূপ) সম্পর্কে। যা অন্য ধর্মাবলম্বীরা জানতে পারবে না। এবং কেবল এই ধর্মেই আপনি শুদ্ধ ভক্তির মাধ্যমে ভগবানকে দর্শন করতে পারবেন এবং মৃত্যুর পর সেই পরম আনন্দময় পরমেশ্বরের ধামে ফিরে যেথে পারবেন।

২। আপনি এমন একটি ধর্মে জন্মগ্রহন করেছেন যে ধর্মে আপনার নামের সাথে শ্রী,,,দেবী,,,রানী শব্দগুলো যুক্ত থাকে। যে শব্দগুলো স্মরণ করিয়ে দেয় আপনি কোন অবহেলিত বা তুচ্ছ মানুষ নন। বরং আপনি ঐশ্বর্যশালী,,,পূজনীয় ও অন্যতম শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি। তাই দেবী জ্ঞানে প্রতিটি হিন্দু পুরুষের হৃদয় মন্দিরে আপনাদের স্থান দেয়া হয়।

৩। আপনার যখন বিয়ে হবে তখন আপনি মা লক্ষীর রূপ নিয়ে একটি হিন্দু পুরুষের ঘরে যাবেন। আর সেই পুরুষ লোকটি আপনাকে দেবী জ্ঞানে তার হৃদয় মন্দিরে চিরদিনের জন্য স্থান দিবেন। আপনি হবেন সেই পুরুষটির মনের রাজ্যে একমাত্র রানী। সেই পুরুষের ঘরে আপনাকে কখনো দাসী হয়ে থাকতে হবে না, আপনাকে হিন্দু পুরুষটি কখনো অবহেলা বা তুচ্ছতাচ্ছিল্য করবে না। কারন আপনি তখন হয়ে যাবেন সেই পুরুষ লোকটির অর্ধাঙ্গিনী এবং সহধর্মীনী। আপনাকে ছাড়া সেই পুরুষ লোকটি অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। এবং আপনাকে ছাড়া সে কোন ধর্মীয় কাজ সম্পন্ন করতে পারবে না।

৪। আপনাকে কখনো সতীনের ভয় পেতে হবে না বা আপনাকে কখনো ডিভোর্সের ভয়ে থাকতে হবে না৷ কেননা, হিন্দু পুরুষেরা একটিই বিয়ে করে থাকে আর হিন্দু সমাজে বিবাহ বিচ্ছেদ হয় না বললেই চলে। আপনার আসে পাশে তাকিয়ে দেখুন কত সুন্দর ভাবে মিলেমিশে সংসার করছে প্রতিটি হিন্দু  স্বামী-স্ত্রী। আবার অন্যধর্মে বিবাহ বিচ্ছেদ আর তিন চার সতীনের ঘর অহরহ দেখা যায়।

৫। হিন্দু পরিবারে আপনাকে কখনো ভোগ্য বস্তু হিসেবে দেখা হবে না, হিন্দু পরিবারে আপনাকে কখনো সন্তান উৎপাদনের মেশিন হিসেবে ব্যবহার করা হবে না।আমি আগেই বলেছি হিন্দু পরিবারে আপনাকে দেবীর সম্মান দেয়া হবে। কিন্তু অন্য ধর্মে আপনি কেবল একটি ভোগ্য বস্তু আর সন্তান উৎপাদনের যন্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হবেন। যখন আপনি ব্যবহারের অযোগ্য হবেন তখন আপনার বিকল্প কাউকে এনে আপনাকে তাড়িয়ে দিবে। আর বর্তমান প্রেক্ষাপটে তাই দেখছি।

৬। সনাতন ধর্মে নারীকে দেয়া হয়েছে শ্রেষ্ট সম্মান।পরমেশ্বর ভগবান নারীকে দিয়েছেন তার শ্রেষ্ট ভক্তের আসন। শ্রীমতি রাধা ঠাকুরানী,,,মাতা যশোদা,,,,সীতা মাতা,,,,মাতা লক্ষী,,,কৌশল্যা মাতা,,,শচীমাতা,,,বিষ্ণুপ্রিয়া মাতা আরো কত শ্রেষ্ট ভক্তের কথা বলব? নারীর মর্যাদা ভঙ্গ করার জন্য রামায়ণ মহাভারতের মতো যুদ্ধ হয়েছে, তবু নারীদের অসম্মান কারীদের ক্ষমা করা হয় নি। বধ করা হয়েছে রাবন দুর্যোধনের মতো পাপীদের।

হে সনাতনী হিন্দু বোনটি আমার, এছাড়াও আরো কত সুযোগ সুবিধা সম্মান দেয়া হয়েছে তোমাকে এই হিন্দু জাতীতে। যার একশ ভাগের এক ভাগও তুমি অন্য ধর্মে পাবে না। এজন্য কি তুমি ভাগ্যবতী নও?

তবু তুমি কিসের জন্য এমন সত্য সুন্দর ধর্মটি ছেড়ে আত্মঘাতী হচ্ছো, সুন্দর জীবনকে ধ্বংশ করে দিচ্ছো? 

ভালো করে নিজের ধর্মটাকে জানো এবং অন্যকে জানাও, তোমাকে অসভ্য বর্বর নিকৃষ্ট স্তরে নামিয়ে আনার জন্য কিছু দস্যু,,, তস্কর,,, অসুর,,,, রাক্ষস,,, দানব,,,শয়তান,,,,কলির চর,,,উৎ পেতে আছে। অসংখ্য ফাঁদ পেতে রেখেছে তোমার জন্য। কলে বলে কৌশলে যদি একবার তোমাকে তাদের ফাদে পা দেয়াতে পারে তবে তোমার এবং তোমার পরিবারের জীবন ধ্বংস হয়ে যাবে। তখন তোমার জীবন এই জগতেই নরকে পরিনত হবে।

 তাই সাবধান হও,,,,শত্রুকে চিনে রাখো,,,হিন্দু ছেলেদের সাথে,,,ভাই বন্ধুর মতো সম্পর্ক রাখো। ভালোবাসলে হিন্দু ছেলেকে ভালোবাসো। তোমার যা দরকার তা একটি হিন্দু ছেলেকে বলো,,,,সাবধান বিধর্মীদের ফাদে পা দিও না। ওরা ন্যাকড়ে বাঘের মতো, যদি একবার তোমাকে আটকাতে পারে তাহলে তোমার জীবন ধ্বংস না করে ছাড়বে না।

তাই আর যেনো একটিও হিন্দু বোনের জীবন নষ্ট না হয় সে দিকে খেয়াল রাখো। সাবধান বোন, তোমরা হরিণ হয়ে বাঘের সাথে বন্ধুত্ব করতে যেও না। যদি যাও তাহলে তোমাদের সর্বনাশের জন্য তোমরাই দায়ী  থাকবে।

সুখে থাকুক আমার প্রতিটি সনাতনী বোন, শ্রীকৃষ্ণের কাছে এই প্রার্থনাই করি….!!!