বেদের চারটি খণ্ডের মাঝে প্রথম অংশটি ঋগ্বেদ। বেদ হিন্দুদের প্রাচীনতম ও পবিত্র ধর্মগ্রন্থের নাম।

বেদ সংখ্যায় চারটি — ঋগ্বেদ, সামবেদ, যজুৰ্বেদ ও অথর্ববেদ । এদের মধ্যে ঋগ্বেদই সবচেয়ে প্ৰাচীন । ঋগ্বেদ দশটি মণ্ডলে বিভক্ত । প্রত্যেক মণ্ডলে অনেকগুলি করে সূক্ত আছে। প্রতি সূক্ত আবার অনেকগুলি ঋক বা মন্ত্র নিয়ে রচিত । প্ৰতি সূক্ত হচ্ছে এক বা একাধিক দেবতার উদ্দেশ্যে রচিত স্তুতি ।

ঋগবেদ সংহিতায় রয়েছে স্তুতি ও প্রার্থনামূলক মন্ত্র। এগুলো পদ্যে রচিত। এখানে ১০৪৭২ টি মন্ত্র রয়েছে। আবার কতগুলো মন্ত্র নিয়ে একটি বড় আকারের কবিতা বানানো হয়েছে। এর একটি কবিতাকে বলা হয়েছে সূক্ত। যে সকল ঋষি ঋগ্‌বেদ দর্শন করেছিলেন তাদের মধ্যে রয়েছেন ঋষি গৃৎসমদ, বিশ্বামিত্র, বামদেব ইত্যাদী। উক্ত ঋষিগন যে সকল দেবতার স্তুতি করেছেন বা যে সকল দেবতার প্রসংঙ্গে ঋগ রচনা করেছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন- অগ্নি, ইন্দ্র, বিষ্ণু, ঊষা ইত্যাদি।

ঋক্, সাম ও যজুর্বেদের মধ্যে খুব ঘনিষ্ঠ সন্বন্ধ বিদ্যমান। আগেই বলা হয়েছে যাঁর জন্য যজ্ঞ অনুষ্ঠিত হচ্ছে তিনি যজমান এবং যাঁরা যজ্ঞ কার্যটি অনুষ্ঠান করছেন তাঁরা ঋত্বিক। এই ঋত্বিকদের মধ্যে শ্রেণী বিভাগ ছিল। যিনি প্রশস্তি পাঠ করতেন তিনি হোতা। তাঁর পাঠন মন্ত্রের সংকলন ঋক্ সংহিতা। যিনি গান গেয়ে স্তুতি করেন তিনি উদ্গাতা। তাঁর গেয় মন্ত্রের সংকলন হল সাম সংহিতা। যিনি আহুতি দেন তিনি অধ্বর্যু। সেই সময় যে মন্ত্র উচ্চারণ হত তার সংকলন হল যজুঃসংহিতা। মীমাংসার মত ঋক্ ও সাম ছাড়া সব যজুঃ (মীমাংসা সূত ২।১।৩৭)। সুতরাং ঋক্ মিত’ অর্থাৎ পদবদ্ধ, সাম সুরে বাঁধা সঙ্গীত রূপে গেয়, আর যজুঃ ‘অমিত’ অর্থাৎ তা ঋকের মত ছন্দোবদ্ধ নয়। যজুর্বেদ সংহিতার মন্ত্রগুলি গদ্যে রচিত। সুতরাং ঋক্, সাম ও যজুঃ সংহিতা পরস্পর ঘনিষ্ঠ সন্বন্ধে যুক্ত। সম্ভবতঃ একই যজ্ঞে তিন সংহিতার মন্ত্রই ব্যবহার হত।



********************************************************************************************************************

হিন্দু ধর্মের যাবতীয় PDF বই Download করুন ** hindu dharma grantha bangla pdf book Download **

ঋগ্বেদ-সংহিতা Download

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Copyright © All rights reserved.Rajbangshi.com